Skip to main content

সময় ব্যবস্থাপনা টিপস

১। প্রথম কাজটি  প্রথমেই ক্রুনঃ  আপনার জীবনের আসল অগ্রাধিকারগুলি খুঁজে বের করুন।

এক ঘন্টা ব্যয় করার মূল্য কি? কোনটা অবশ্যই করতে হবে এবং কোনটা করা ভালো?

২। গুরুত্বপূর্ণ  কাজগুলোর জন্য ধারাবাহিকভাবে সময় বরাদ্দ করুন।

আপনি যতক্ষণ না সামাজিক কাজ, বা পড়াশুনা, বা পিতামাতা, স্ত্রী বা সন্তানদের সাথে দৈনিক সময় দানের জন্য পরিকল্পনা এবং সময় নির্ধারণ না করেন, এটি আপনার কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয় না; সম্ভাবনা হল আপনি শেষ পর্যন্ত এই  বেশী গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলিকে অবহেলা করতে শুরু করবেন।

৩। আপনার সময়কে আপনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজকে সামনে রেখে সাজান।

এ ব্যাপারে কোন ছাড় নাই। এটি শুধুমাত্র আপনার শৃঙ্খলাই বিকশিত করবে না বরং একটি উদ্দেশ্যপূর্ণ জীবন যাপন করার জন্য আপনার ইচ্ছাশক্তিও গড়ে তুলবে।

৪। আপনার জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলির জন্য বাৎসরিক পরিকল্পনা করুন।

হতে পারে এটা বিয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, হজ্বে যাওয়া, যাকাত প্রদান করা, একটি সম্মেলনে যোগদান, অথবা  কোন একটি সামাজিক ইভেন্টের ব্যবস্থাপনা এবং পরিকল্পনা-  এগুলোর জন্য বছরের শুরুতেই পরিকল্পনা করে রাখুন। তাহলে অন্যান্য ছোটখাটো ঘটনাগুলি আপনাকে আপনার লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারবেনা না।

৫। ঘুম থেকে জলদি উঠে পড়ুনঃ

আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজের সময়সুচী করে ফেলুন, বিশেষ করে দিনের শুরুতে চিন্তা-ভাবনার কাজগুলো,এবং দেখুন কেমন যাদুর মতো আল্লাহর বরকত পান।

৬। অন্যের সময়কে সম্মান করুন।

যে কোন মিটিং, ক্লাস, অথবা কোন অনুষ্ঠানে যাবার সময়ের ১০ মিনিট আগে রওয়ানা দিন। আপনার যদি পৌছাতে দেরি হয় তাহলে অন্য পক্ষকে জানিয়ে দিন। অন্যের সময়কে সম্মান করা আপনার প্রতিশ্রুতি পূরণেরই একটি অংশ। ওয়াদা ভংগ করা শুধুমাত্র অন্যকেই বেকায়দায় ফেলে না , সেটা আপনার সম্মানও কমিয়ে দেয় অন্যের চোখে।

৭। কোন ভালো কাজ করতে সুযোগ নষ্ট করবেন না।

আপনার জীবনকে প্রতিষ্ঠিত করতে আরো বয়স্ক হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন না। আপনি যদি এখন একটি উদ্দেশ্য-চালিত, উত্পাদনশীল জীবন যাপন করতে ইচ্ছুক না হন, তাহলে আপনি কীভাবে আশা করবেন যে আল্লাহ আপনাকে ভবিষ্যতে একটি সুযোগ দেবেন?

৮। আশাবাদী এবং ভবিষ্যতবাদী হন।

আপনার ব্যার্থতা এবং হতাশা আপনার জীবনকে যেন অন্যমুখী না করে ফেলতে পারে আপনার লক্ষ্য থেকে। সাময়িক বাস্তবতার বাইরে তাকান এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করুন। অন্যথায়, আপনি এখন এবং সেইসাথে ভবিষ্যতে একজন দর্ভাগ্যবান মানুষ হয়ে থাকতে পারেন।

৯। আপনার কাছে যতই সময় থাকুক না কেন, আপনি রেখে যেতে চান এমন একটি ইতিবাচক উত্তরাধিকারের কথা ভাবুন।

আজকেই নিয়ত করে ফেলুন আপনার জীবনে আপনি একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনবেন সেই সাথে অন্যের জীবনকেও পালটে দিবেন। আপনি যদি কালকে মারা যান, আপনার পরিকল্পিত নিয়ত একটি প্রেরনা-চালিত জীবন হিসেবে বিবেচিত হবে, ইনশাআল্লাহ। কিন্তু আপনার জীবনে এমন অসাধারন কিছু ঘটবে না যদি এমন একটি দৃঢ় নিয়ত বা পরিকল্পনা না করেন।

সুত্রঃ “9 Things You Can Do To Revive the Prophet’s Time-Management Sunnah” – Taha Ghayyur

Leave a Reply